করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিজেদের উদ্ভাবিত কিটের অনুমোদন পায়নি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তাদের অনুমোদন দেয়নি।
গণস্বাস্থ্যের জিআর কোভিড-১৯ রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দেশের এই জরুরি অবস্থায় সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেনি। তারা গণস্বাস্থ্যের জিআর কোভিড-১৯ রেপিড ডট ব্লট কিটের নিবন্ধন প্রদান করেনি।
এমন সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ শিগগিরই জানানো হবে বলে জানান সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
গত মার্চে কোভিড-১৯ শনাক্তে র্যাপিড কিট উদ্ভাবন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদের সমন্বয়ে গবেষক দল অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিট তৈরি করে। এরপর সেই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য তৃতীয় পক্ষ পরীক্ষার অনুমোদন নিয়ে বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়।
অবশেষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর গত ১৩ মে বিএসএমএমইউ’কে কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় বিএসএমএমইউ’র ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১৮ জুন বিএসএমএমইউ’র মূল্যায়ন কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড কিট (জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট) অ্যান্টিবডির উপস্থিতি প্রমাণে সক্ষম হলেও করোনাভাইরাস শনাক্তে কার্যকর নয়।